Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংস্কৃতি

ভাষা ও সংস্কৃতি

 

এই উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে খচিত। এখানে জন্ম নিয়েছেন সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, মহর্ষি মনোমোহন দত্ত, রওশন আরা অন্নপূর্ণা, ওস্তাদ বাহাদূর হোসেন খান, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু এবং সৈয়দ আব্দুল হাদী প্রমুখ সঙ্গীত সাধক । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সঙ্গীতে তীর্থভূমি শিবপুর, সাতমোড়া, মইনপুর এবং কালীকচ্ছ । এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নামও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । তবে এটাই সত্য গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-ই সঙ্গীতের উর্বর শস্যভূমি । তিতাস নদী বিধৌত এই ভূ-ভাগে আদিকাল হতে গড়ে উঠেছে ঋদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্য ।

শহরে সাহিত্য কর্মে যারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, আবদুল কাদির প্রমুখ । ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সঙ্গীত চর্চার ঐতিহ্যও উল্লেখযোগ্য । ১৯৫৭ সালে ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ "দি আলাউদ্দিন মিউজিক্যাল কলেজ" এবং ১৯৭৫ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন "দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন" গড়ে তোলেন । সঙ্গীতে এ শহরে যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তারা হলেন ওস্তাদ ফকির (তাপস) আফতাব উদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ,  ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খাঁ, ওস্তাদ আবেদ হোসেন খাঁ, ওস্তাদ খাদেম হোসেন খাঁ, ওস্তাদ রাজা হোসেন খান, অমর পাল, ওস্তাদ খুরশিদ খান, ওস্তাদ সুবল দাস, ওস্তাদ আফজালুর রহমান, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, সবদর হোসেন খান, মনোমোহন দত্ত, লোকশিল্পী দুলা মিয়া, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান, রওশন আরা বেগম (অন্নপূর্ণা), সৈয়দ আবদুল হাদী প্রমুখ। প্রাচীনকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমৃদ্ধ লোক সাহিত্যের একটি নিজস্ব পরিবেশ গড়ে উঠেছে । লোক কাহিনী, লোক সংগীত, ছড়া ও প্রবাদ-প্রবচনে এখনও এর কিছু কিছু নিদর্শন বর্তমান রয়েছে।

লোক সংগীত : লোক সংগীতেও সমৃদ্ধ জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া । লোক সংগীতে প্রাচীনকাল থেকেই একটি বিশেষ ধারা এখানে প্রচলিত হয়েছে । মৃরজা হোসেন আলী, বানচন্দ্র তর্কালঙ্কার, মনোমোহন দত্ত, লবচন্দ্র পাল, ফকির আফতাব উদ্দিন, দুলা মিয়া মাস্টার, গিরীন চক্রবর্তী ও দূর্গাচরণ দাসের লোক সংগীত সারা উপমহাদেশেই গ্রহণ যোগ্য হয়েছে । নিচে দুলা মিয়া মাস্টার ও গিরীণ চক্রবর্তীর দুটি লোকগানের উদ্ধৃতি দেয়া হল :

১। সাধের তিতাস নদীরে

গাঙ্গে দইল ধুয়া পানি।

একখান জাহাজে টানে

চল্লিশ খান রপ্তানি।।

তিতাস নদীর মাঝে একখান

জাহাজ আসিল

কৈরা ইছা মুছ তাওয়াইয়া বসিয়া রহিল।।

এমন সময় দাড়ি মাল্লা

নোঙর তুলিল।

ভাসিতে ভাসিতে জাহাজ

নারান গঞ্জে গেল।

ইছা বলে সাধের জাহাজ

তিতাসেই রহিল।।

০২। মাসির বাড়ি কিশোরগঞ্জে

মামার বাড়ি চাতল পাড়।

বাপের বাড়ি বাউনবাইরা

নিজের বাড়ি নাই আমার।।

আমি রে যে জলের ঢেউ

আমার বলতে নাইরে কেউ,

চান্দের হাট ভাইঙ্গা গেছে

একূল ওকূল অন্ধকার।।।