এল,এ শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এল এ শাখা
ক্রমিক নং |
সেবার নাম |
সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া |
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময় |
০১ |
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ |
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর আত্ততায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা।
১। প্রত্যাশী সংস্থা হইতে পূণাঙ্গ প্রস্তাব প্রাপ্তির পর ২১ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় অথবা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা (এল,এ,ও) এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রস্তাবিত ভূমির সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
২। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভা আহবান ও তথায় অনুমোদন লাভ।
৩। জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন লাভের পর এল,ও মামলা সৃজন
৪। পরবর্তীতে জমির মালিকগণকে ৩ ধারা মতে নোটিশ প্রদান এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও প্রত্যাশী সংস্থার প্রতিনিধিসহ যৌথ তদন্ত, ফিল্ড বুক তৈরী ও ভিডিও রেকর্ডিং করণ।
৫। ৩ ধারা নোটিশ জারীর পরবর্তী ১৫ (পনের ) দিনের মধ্যে আপত্তি না পাওয়া গেলে এবং প্রস্তাবিত ভূমির পরিমাণ ৫০ বিঘার কম হলে জেলা প্রশাসক মহোদয় ১০ (দশ) দিনের মধ্যে ৪ (৩) ধারামতে অধিগ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং ৩ ধারার নোটিশ জারীর পর ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যদি কোন মালিক আপত্তি দায়ের করেন তাহলে জেলা প্রশাসক মহোদয় পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শুনানী গ্রহণ করে জমির পরিমাণ ৫০ বিঘার কম হলে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের নিকট ৪(২) ধারা মতে সুপারিশ সহকারে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন বিভাগীয় কমিশনার সবোর্চ্চ ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অধিগ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট নথি ফেরৎ দিবেন এবং জমির পরিমাণ ৫০ বিঘার উর্দ্ধে হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবেন। ভূমি মন্ত্রণালয় তৎপরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে ৫(১) ধারা মতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক বরাবরে নথি ফেরৎ দিবেন।
৬। অধিগ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদনের পরপরই ৬ ধারা নোটিশ প্রদান করিতে হয়। ৬ ধারা নোটিশ জমির মালিকগণ প্রাপ্তির পর মালিকানার ব্যাপারে কোন জটিলতা থাকিলে অত্রাফিসকে অবহিত করিবেন।
৭। ৬ ধারা নোটিশ প্রদানের পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সাবরেজিস্ট্রী অফিস হইতে জমির ক্রয়-বিক্রয় দলিলের তালিকা সংগ্রহ করে জমির মূল্যহার অনুমোদনক্রমে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে অনুমোদিত প্রাক্কলন প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে প্রেরণ করিতে হইবে।
৮। প্রত্যাশী সংস্থাকে প্রাক্কলন প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে ৭ (৪) ধারামতে তহবিল প্রেরণ করিতে হইবে নতুবা কেস আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় ১২ (১) ধারা মতে গেজেট প্রকাশ করিবেন।
৯। প্রত্যাশী সংস্থা হইতে প্রাক্কলিত অর্থ প্রাপ্তির পর রোয়েদার বহির প্রস্তুতক্রমে ৭ ধারা মতে জমির মালিকগণকে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করার নোটিশ প্রদান করিতে হইবে এবং প্রত্যাশী সংস্থা হইতে অর্থ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জমির দখল প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে বুঝাইয়া দিতে হইবে।
১০। প্রত্যাশী সংস্থা বেসরকারী হলে দখল হস্তান্তরে পরপরই নির্ধারিত ফরমে হস্তান্তর দলিল সম্পাদন করে দিতে হইবে সরকারী সংস্থার ক্ষেত্রে তা প্রয়োজন হবে না। ট্রেসিং ক্লথে ৪ ফর্দ চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত করে দখল হস্তান্তরে সময় ১ ফর্দ প্রত্যাশী সংস্থাকে দিতে হইবে।
১১। দখল হস্তান্তরের ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে ১১ (২) ধারা মতে অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নির্ধারিত ফর্মে একটি ঘোষণা জেলঅ প্রশাসক কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় স্বউদ্যোগে প্রত্যাশী সংস্থার অনুকূলে নামজারী বা জমা খারিজ করার ব্যবস্থা করিবেন।
১২। সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস হইতে নামজারী খতিয়ান প্রাপ্তির পর হিসাব সমন্বয়ের জন্য জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে প্রেরণ করিতে হইবে।
১৩। জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস হইতে প্রতিবেদন পাওয়ার পর নথি মহাফেজ খানায় প্রেরণ করিতে হইবে।
|
অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৩ ধারা মতে নোটিশ জারীর ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে এবং ৬ ধারা মতে নোটিশ জারীর ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সর্বসাধারণ যথাক্রমে অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে ও মালিকানার বিষয়ে নিজে বা কৌশুলীল মাধ্যমে আপত্তি দাখিল করিতে পারবেন এবং ১৫ (পনের) দিন সময় কালের মধ্যে শুনানী নিয়ে প্রয়োজনীয় মালিকানার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয় এবং ৭ ধারা নোটিশ জারীর পর রোয়েদাদ মতে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগণকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। |
০২ |
১৯৮২ সনের স্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখল অধ্যাদেশের ২ এর আত্ততায় অস্থায়ী হুকুম দখল ( রিকুইজিশন) |
১। প্রত্যাশী সংস্থা হইতে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রাপ্তির পর ২১ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় অথবা জেলঅ প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অথবা (এল,এ,ও) এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রস্তাবিত ভূমির সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন দাখিল করিবেন।
২। সম্ভাব্যতা যাচা প্রতিবেদন প্রপ্তির পর জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভা আহবান ও তথায় অনুমোদন লাভ।
৩। জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটি কর্তৃক অনুমোদন লাভের পর রিকুইজিশন মামলার সৃজন করা হয়।
৪। পরবর্তীতে জমির মালিকগণকে ১৯৮২ সনের ২ নং অধ্যাদেশের ১৮ ধারা মতে নোটিশ প্রদান করা হয় এবং জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও প্রত্যাশী সংস্থার প্রতিনিধিসহ যৌথ তদন্ত, ফিল্ডবুক তৈরী ও ভিডিও রেকর্ডিং করণ।
৫। পরবর্তীতে ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে জেলা প্রশাসক কর্র্ত জমির দখল গ্রহণ ও প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে উক্ত জমির দখল হস্তান্তর।
৬। প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য বাৎসরিক ভাড়া হিসাবে সম্পত্তির প্রাক্কলন নির্ধারণ ও উহাতে অবস্থিত অবকাঠামো, দন্ডায়মান ফসল ও সম্ভাব্য ফসলের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রাক্কলন প্রস্তুত করণ।
৭। প্রস্তুতকৃত প্রাক্কলন প্রত্যাশী সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমির মালিকগনকে প্রদানের ব্যবস্থা করণ।
৮। অধ্যাদেশের ১৮ (৩) ধারা মতে সাধারণভাবে ২ (দুই) বৎসরের জন্য সম্পত্তি রিকুজিশন করা যায়, ২৪ নং অনুচ্ছেদের বর্ণনামতে প্রয়োজনীয় সময় অতিবাহিত হওয়ার পর রিকুইজিশনকৃত সম্পত্তির মূল মালিককে ফেরৎ প্রদানের বিধান রয়েছে। ১৮ (৩) উ-ধারা মতে ২(দুই) বৎসর অধিক সময় সরকারের অনুমোদনক্রমে সময় বৃদ্ধি করা যাবে। |
মালিকানা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে অথবা কৌশুলির মাধ্যমে আপত্তি দাখিল করতে পারেন। যথা সম্ভব তাড়াতারি শুনানী নিয়ে আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয়। তবে এ ব্যাপারে নির্ধারিত কোন সময়সীমা নাই। |
০৩ |
এল, এ মামলার প্রয়োজনীয় অংশের সংবাদ সরবরাহ |
১। রেকর্ড ম্যানুয়েল অনুসারে এল, এ মামলার প্রয়োজনীয় অংশে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ক্ষতিপূরণে রোয়েদাদ, দাগসূচী ইত্যাদি বিষয়ে সংবাদ সরবারাহের বিধান রয়েছে। |
রেকর্ড ম্যানুয়েল অনুসারে মহাফেজ খানার মাধ্যমে সর্বসাধারণকে চাহিত সংবাদ সরবরাহ করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। |
0
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর আওতায় সরকারী /আধাসরকারী/স্বায়ত শাসিত সংস্থা/ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিমিত্ত নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । ১। প্রত্যাশী সংস্থার নিকট হতে জমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব পাওয়ার পর অধিগ্রহনের সম্ভ্যাব্যতা যাচাইক্রমে প্রতিবেদন দাখিল। ২। জমি অধিগ্রহনের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ‘‘ জেলা স্থান নির্বাচন ও জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় প্রস্তাবিত জমির স্থান নির্বাচন ও ভূমি বরাদ্দ অনুমোদন করা । ৩। এল এ মামলার নথি সৃজন ৪। জমির মালিক বরাবরে ৩ ধারার নোটিশ জারী করা । নোটিশ জারীর ১৫ দিনের মধ্যে অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আপত্তি পাওয়া গেলে জমির পরিমানে উপর ভিত্তিকরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহন করা । ৫। মামলা অনুমোদন পাওয়ার পর মূল্য নির্ধারণের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে জমির মালিক বরাবরে ৬ ধারার নোটিশ প্রেরণ করা। ৬। ৬ ধারার নোটিশ জারীর পর সংশ্লিষ্ট সাব রেজিষ্ট্রার অফিস হতে জমির মূল্য হার প্রতিবেদন সংগ্রহ করা । ৭। জমির মূল্য নির্ধারণ করা । ৮। প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে প্রাক্কলন প্রেরণ করা । ৯। প্রেরিত প্রাক্কলন মোতাবেক ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে টাকা জমা না দিলে মামলা আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে। ১০। প্রাক্কলন মোতাবেক টাকা জমা দিলে জমির মালিক বরাবরে ৭ ধারার নোটিশ প্রদান করে জমির মালিকানার স্বপক্ষের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাইক্রমে ক্ষতিপূরনের টাকা প্রদান করতে হবে । ১১। প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে জমির দখল হস্তান্তর করতে হবে । ১২। অধিগ্রহণকৃত ভূমি গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে প্রক শের জন্য বিজি প্রেসে প্রেরণ করতে হবে । ১৩। গেজেটে প্রকাশের কপি পাওয়ার পর নামজারী ও জমা খারিজ অনুমোদনের জন্য ১৯ নং ফরম পূরণকরে সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে প্রেরণ করতে হবে । ১৪ । অনুমোদিত নামজারী ও জমাখারিজের কপি প্রত্যাশী সংস্থাকে প্রদান করতে হবে । ১৫। জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হতে হিসাব সমন্নয় প্রতিবেদন গ্রহণক্রমে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে হবে । ১৬। মামলাটি নিষ্পত্তি করার পর রেকর্ড রুমে প্রেরণ করতে হবে । |
|
টেলিফোন নাম্বারঃ- ০৮৫১- ৫২৬৮৫
0
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস